জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অনিয়মের দালিলিক প্রমাণসহ বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি দেবে নির্বাচন কমিশনে

বাংলাদেশে গত রোববারে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনো বিতর্কের ইতি হয়নি। ভোট ডাকাতির অভিযোগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। অনিয়মের দালিলিক প্রমাণসহ আগামীকাল তারা স্মারকলিপি দেবে নির্বাচন কমিশনে। এ জন্য সকাল ৯টায় গুলশানস্থ বিএনপি কার্যালয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জোটের সব প্রার্থীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। বাম জোটের তরফে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে আগামীকাল সারাদেশে মুখে কালো কাপড় বেধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

সরকার বলছে, এটা জনরায়কে কলঙ্কিত করার প্রচেষ্টা। জনগণ তাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটে পরাজিত হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।

বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, জয়ের বিরাট ব্যবধান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। পত্রিকাটি লিখেছে, বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, হাসিনা জিতবেন। তবে খুব কম মানুষই ধারণা করেছিলেন যে, ব্যবধান এমন হবে। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল বিলেতের বিখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনোমিস্ট। নির্বাচনের পর পত্রিকাটি লিখেছে, ভোটের বিব্রতকর ব্যবধান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বিএনপি এই নির্বাচনের সবচেয়ে পরাজিত পক্ষ নয়। বড় পরাজিত পক্ষ হচ্ছে দেশের গণতন্ত্র। সিএনএন তার অনলাইন সংস্করণে এক রিপোর্টে নির্বাচনকে বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেছে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট নয়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পশ্চিমা মিডিয়ার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, তাদের রিপোর্ট হতাশাজনক ও পক্ষপাতদুষ্ট।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের- প্রত্যাখ্যান নয়, জনরায় মেনে নেয়ার জন্য বিএনপি'র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।