আদালতের আদেশে বিএনপির ১৩ প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য

বিএনপির আরো পাঁচ জন প্রার্থী আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। তাদের মনোনয়ন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশে বিএনপির ১৩ জন প্রার্থী ভোটের লড়াই থেকে ছিটকে পড়লেন। বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বিএনপির পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করে। একই সঙ্গে তাদের মনোনয়নের বৈধতা প্রশ্নে রুলও জারি করে আদালত। জামালপুর-১, জয়পুরহাট-১, ঝিনাইদহ-২, রাজশাহী-৬ এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে। মূলত উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় তাদের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে, জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর ব্যাপারে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি লিখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি উচ্চ আদালতের আদেশের কারণে ধানের শীষের প্রার্থী না থাকা আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের অথবা পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। ওদিকে, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ করলেও পুলিশ প্রধান ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে সর্বোত্তম ও চমৎকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া, নানা আলোচনা-সমালোচনার পর ২৪শে ডিসেম্বরের মধ্যে বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওদিকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।