বাংলাদেশ বিষয়ে জন কেরী ও বান কি মুনের উদ্বেগ: পররাস্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী হোয়াইট হাউজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জঙ্গীবাদ বিরোধী সম্মেলনে অংশ নেন। তিনি বৈঠক করেন যুক্তরাস্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর সঙ্গে এবং জাতীসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে। জঙ্গীবাদ বিরোধী সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি কি কি বললেন, জন কেরী এবং বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠকে কি বিষয় নিয়ে কথা হলো সেসব নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের সঙ্গে। সেলিম হোসেন জানাচ্ছেন বিস্তারিত।

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশ বিষয়ে জন কেরী ও বান কি মুনের উদ্বেগ: পররাস্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী

পররাস্ট্রমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বারের মতো যুক্তরাস্ট্র সফর আবুল হাসান মাহমুদ আলীর। জঙ্গীবাদ বিরোধী সম্মেলনে কি বক্তব্য দিলেন সে প্রশ্নে তিনি বললেন: বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গীবাদের রূপ ভিন্ন ভিন্ন রকম। কোনো একটা ডেফিনিট ফর্মে তা আবদ্ধ করা যায় না। মধ্যপ্রাচ্যে আইএস যা করছে প্রধানত তারই বিরুদ্ধে এই সম্মেলন। বাংলাদেশও তাতে যোগ দেয়।

তিনি বলেন সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি সংক্ষেপে বিএনপি জামাতের আন্দোলন ও সহিংসতার কথা বলেছেন। তিনি অগ্রগতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন যুব ও তরুণদের উন্নয়নে সরকারের কর্মসূচীর কথা তিনি বলেছেন, আইটি ক্ষেত্রে উন্নতির কথা, নারীর ক্ষমতায়নের কথা, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের কথা, নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তুলবার সরকারের প্রচেষ্টার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে।

তিনি বলেন নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ যে রোল মডেল তা তিনি তুলে ধরেছেন সম্মেলনে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েরা এগিয়ে, জাতীসংঘে বাংলাদেশ শান্তি রক্ষা বাহিনীর সাফল্যসহ নানা বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন বলে জানান।

যুক্তরাস্ট্রের পররাস্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর সঙ্গে বৈঠকে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সে সম্পর্কে মাহমুদ আলী বলেন বাংলাদেশ যুক্তরাস্ট্র সম্পর্ক নিয়েই কথা হয়েছে।

তিনি বলেন দুদেশের সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী। এ সম্পর্ক আরো কিভাবে বাড়িয়ে আরো শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কে কথা হয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জন কেরী কি বললেন সে প্রশ্নে তিনি বলেন; জন কেরী বলেছেন যে যুক্তরাস্ট্র এতে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেছেন বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ্যাতো ভালো করছে অথচ সেখানে এ্যাতো সহিংসতা কেনো? আপনারা দ্রুত এর সমাধান করুন।

বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে যুক্তরাস্ট্র কি ভুমিকা রাখতে পারে এমন কিছু জন কেরী বলেছেন কি না সে প্রশ্নে মাহমুদ আল বিলেন-না। তা স্পষ্ট করে কিছু বলেন নি। তবে দ্রুত যেনো সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় সে ব্যাবব্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন জন কেরী।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন। এ বিষয়ে যুক্তরাস্ট্রের কি মত তা জানতে চাইলে মাহমুদ আলী বলেন। এখনতো সেটি নিয়ে কারো মনো কোনো প্রশ্ন নেই। এখন তা কেউ তুলছেও না। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নও বলেছে যে সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করছে।

বাংলাদেশের চলমান হরতাল অবরোধ সম্পর্কে জন কেরী কি বললেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন: আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি যে সরকার জনগনকে সাথে নিয়ে তার মোকাবেলা করছে। এবং অবস্থা এখন অনেক ভালোর দিকে। এ নিয়ে জন কেরীর মন্তব্য কি ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনি বলেছেন হরতাল অবরোধ সহিংসতা-তো গনতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়। দ্রুত এর সমাধানের আহবান জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠকে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাস্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন তিনি বাংলাদেশের সহিংসতা ও প্রানহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের উজ্জল ভবিষ্যতও কামনা করেছেন বান কি মুন।

বিরোপক্ষের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে কোনে কথা হয়েছে কিনা সে প্রশ্নে তিনি বলেন: যারা সন্ত্রাস করে তাদের সাথে কোনো সংলাপ নয়। জামাতের সঙ্গ ছেড়ে, সন্ত্রাস ছেড়ে গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে তারা রাজী।