বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা এবং অপহরণ বাড়ায় বাংলাদেশে উদ্বেগ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশী হত্যা ছাড়াও আহত এবং অপহরণের ঘটনা ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকায় এ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সীমান্ত হত্যার বিষয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে দুদেশের সরকারি পর্যায়ের শীর্ষ বৈঠকে,দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন সমূহে সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সম্প্রতি বলেছেন নানা উদ্যোগেও থামাছেনা সীমান্ত হত্যা। সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা এবং ঐকমত্য থাকার উল্লেখ করে তিনি বলেন তারপরও সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। বিজিবি সীমান্ত হত্যা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়ে সম্প্রতি বিএসএফ এর কাছে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী এবং কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন প্রতিশ্রুতি আসে তখন এটা প্রত্যাশিত যে প্রতিশ্রুতিটা কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে গত প্রায় ২০ বছর ধরে এ জায়গাটাতে প্রতিশ্রুতির সাথে বাস্তবায়নের সামঞ্জস্য নাই। তাঁদের মতে বিজিবি কিংবা সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিবাদ, উদ্বেগ বা অনুরোধ যে খুব কাজে আসছে না সেটি অনেকটাই স্পষ্ট।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেয়াতথ্য মতে ২০২০ সালের প্রথম মাসেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফে এর গুলিতে ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক খুন হয়েছে্ন। এসকল সংস্থার হিসাবে সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে এবং নির্যাতনে ২০১৯ সালে ৪৪ জন বাংলাদেশি খুন, ৪৮ জন আহত এবং ৩৪ জন অপহৃত হয়েছেন। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভয়েস অব অ্যামেরিকার সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা। তাঁকে প্রশ্ন ছিল এত প্রতিশ্রুতি, সমঝোতা এবং উদ্বেগ সত্ত্বেও সীমান্ত হত্যা কেন বন্ধ হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিএসএফ এর মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন এবং একই সাথে সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশকেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং বাড়াতে হবে কঠোর নজরদারি৷

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে জহুরুল আলমের রিপোর্ট।