২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ১৫ বছর বয়সী ফেলানী খাতুন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়। আর বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানীর ওই মরদেহ ঝুলে ছিল কয়েক ঘন্টা সীমান্তে দেয়া কাটা তারের বেড়ার উপরে। এই ছবি প্রকাশের পরে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম নেয়। প্রশ্ন উঠে মানুষের জীবনের, মানবাধিকারের। ফলে ২০১৩ সালে ভারত ফেলানী হত্যাকান্ডের বিষয়ে একটি মামলা গ্রহণ করে এবং বিএসএফ-এর নিজস্ব আদালতের বিচারে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য বেকসুর খালাস পায়। পরে ওই দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে সুবিচার প্রার্থনা করে মামলা করা হয়-যা এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছে। সীমান্ত হত্যার ঘটনার জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত আন্তর্র্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব মোতাবেক গত ১২ বছরে এই সীমান্তে কমপক্ষে ৭শ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন-যাদের অধিকাংশই অল্প আয়ের কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবারের। বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকগণ বলছেন, মূলত অর্থনীতির কারণেই মানুষ অবৈধভাবে ও পন্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করছে কিংবা পার হওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটিকে অস্ত্র দিয়ে, জোর খাটিয়ে বন্ধ করার প্রবণতা মানুষের মানবাধিকারসহ সামগ্রিক অধিকারের বিপক্ষে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরু’র প্রধান ড. তাসনীম সিদ্দিকী।
Your browser doesn’t support HTML5
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট