আইএস সদস্য শামীমাকে নিয়ে ঢাকা-লন্ডন ভিন্ন অবস্থানে

আইএস সদস্য শামীমাকে নিয়ে বৃটেন ও বাংলাদেশ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তার নাগরিকত্ব প্রশ্নে দুই দেশের মধ্যে দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সুয়োমোটো এক বিবৃতিতে ঢাকা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বৃটিশ নাগরিক শামীমাকে কোনো অবস্থাতেই গ্রহণ করা হবে না। বৃটেনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা শামীমা ১৫ বছর বয়সে পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেন ২০১৫ সালে। ৪ বছরে তার সংসার হয়েছে। সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আইএস যোদ্ধার সংস্পর্শে। সিরিয়া ক্যাম্পে জন্ম নেয়া নবজাতককে নিয়ে তিনি বৃটেনে ফিরতে চান। কিন্তু বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমাকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এক পত্রের মাধ্যমে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, শামীমার পিতামাতা যেহেতু বাংলাদেশী, তাই তিনিও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাইতে পারেন!

বৃটেনের ঐ বার্তা বাংলাদেশে আসার পর সরকার নড়েচড়ে বসে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে একাধিক বৈঠক এবং চিঠি চালাচালির পর বুধবার মধ্যরাতে শামীমা প্রশ্নে ঢাকা তার কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, শামীমা বেগমকে ভুলভাবে বাংলাদেশ ও বৃটেনের যৌথ নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সরকার দৃঢ়ভাবে বলছে, শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক নন, তিনি জন্মসূত্রে বৃটেনের নাগরিক। বাংলাদেশে যৌথ নাগরিকত্বের জন্য তিনি কখনোই আবেদন করেননি বা আসেননি। তাই তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টিও সরকারি বিবৃতিতে স্মরণ করা হয়।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।