বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কয়েকশো গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চালিয়েছে: তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই ন্যায় বিচার কি তা ভুলতে বসেছেন। ন্যায় বিচারের আনন্দ এখন আর বিরাজমান নেই জনমনে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল জাস্টিস দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক বিবৃতিতে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইন ভলান্টারি ডিজ এ্যাপিয়ারেন্স ও অধিকার এই মন্তব্য করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার ব্যক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবার ও অধিকার কর্মী যারা তাদের পাশে দাঁড়ান তারাই ন্যায় বিচার পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। নির্যাতিতরা কোন চিকিৎসা বা মানুষ হিসেবে মর্যাদাটুকুও পান না। বিশেষ করে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন তারা ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কয়েকশো গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চালিয়েছে।

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুন সময়ের মধ্যে ২৬৩টি বিচার বহির্ভুত হত্যা এবং ১৪৭টি গুমের ঘটনা বিবৃতিতে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্যাতিত ও অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকারকে অব্যাহতভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তিনটি মূল লক্ষ্য ছিল- সামাজিক ন্যায় বিচার, সমতা ও মানুষের মর্যাদা। কিন্তু এই লক্ষ্যগুলো পূরণে রাষ্ট্র ব্যর্থ হচ্ছে। বরং এক প্রলম্বিত দায়মুক্তির সংস্কৃতি গ্রাস করছে বাংলাদেশকে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কয়েকশো গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চালিয়েছে: তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি