পেট্রোল ঢেলে শত শত মোবাইল ফোনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। এটা শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের কোন কাজ নয়। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটেছে। হেফাজতে ইসলাম পরিচালিত এই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, মুঠো ফোনগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অন্তরায় সৃষ্টি করছিল। রোববার শিক্ষার্থীদের ফোনগুলো জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। ফোনগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার পর মাদ্রাসা মাঠে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মাদ্রাসার মুখপাত্র আজিজুল হক বলেছেন, এই যন্ত্রগুলো তাদের চরিত্র নষ্ট করছে। শিক্ষার্থীরা সারারাত ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর সকালে এসে ক্লাশে ঝিমায়। তাদের অভিভাবকরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ১২৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটিতে এই মুহূর্তে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আজিজুল হক সংবাদ মাধ্যমকে আরো বলেছেন, মুঠো ফোনগুলো বন্ধ করার জন্য অনেকেই চিঠি পাঠান। তাদের ধারণা, এই যন্ত্রগুলো বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক গড়ার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্মরণ করা যায় যে, হেফাজতে ইসলামের প্রধান হচ্ছেন আল্লামা আহমেদ শফি। তিনি নিজে মুঠো ফোন ব্যবহার করেন না। এটা তার পছন্দও নয়। গত বছর নভেম্বরে চট্টগ্রামের এক সভায় আল্লামা শাহ আহমেদ শফি বলেছিলেন, মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য মোবাইল নামক একটি বিধ্বংসী মারণাস্ত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিককালে হেফাজতে ইসলাম একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5
মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট সেল ফোন