সহিংসতা থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট পরিমানে তৎপর নয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা শীর্ষক’ বার্ষিক ওই প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সহিংসতা থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে রক্ষায় সরকারের কর্মকর্তারা এবং পুলিশ প্রায়ই ধীরগতিতে কাজ করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওই নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ওই নির্বাচন বর্জণ করে। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৬টি জেলায় নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সহিংসতার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু যে রিপোর্ট বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যায়, সরকার আক্রান্ত এলাকায় যেসব পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠিয়েছে তারা সহিংসতা বন্ধ করতে পারেনি। এমনকি কোন কোন এলাকায় তারা নিজেরাই সহিংসতায় অংশ নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিসহ সরকারের কিছু সাফল্য রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে এমন ভাষা ব্যবহার করে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্ভোগ এবং বাংলাদেশ কতৃক ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানানো যেন তারা প্রকাশ্যে বারবার ধর্মীয় বিভক্তি, ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সহিংসতা ও হয়রানির নিন্দা জানান। সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিচারকদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদন্ডের বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে সহায়তা করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
বিস্তারিত শুনুন ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্টে।
Your browser doesn’t support HTML5