বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্বেগ

বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তার ধীর গতিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাস্তবায়নের গতি খুবই মন্থর। এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়া যায় তার উপায় খুঁজে বের করার জন্য আগামী সোমবার প্রথমবারের মতো এক বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। যাদের কাজ হবে চীনের অর্থায়িত প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করা। বিনিয়োগ ও বাণিজ্য- এই দুটোতেই বেইজিংয়ের আগ্রহ রয়েছে। আসন্ন বৈঠকে উভয় পক্ষের ১০টি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে যোগদানের জন্য একজন উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি চীনা প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে।

২০১৬ সনের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফর করেন। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ২০০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হন। এই অর্থেই ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পগুলোর কাজে মন্থরগতি চীনকে ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক চীন সফরের পর একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়।

ঢাকার কর্মকর্তারা মনে করছেন, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি প্রকল্প নিয়ে চীন ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একটি বিশেষ শিল্পপার্ক করার ব্যাপারেও তারা প্রস্তাব দিয়েছে। এখানে চীনা নাগরিকগণ পার্কটির দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবে এবং বিনিয়োগ করবে। চীনের ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট চার লেনের প্রকল্পসহ কয়েকটি প্রকল্প অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছে দেয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। এডিবি’র আগ্রহে বাংলাদেশ ঢাকা-সিলেট চার লেনের প্রকল্পটি তাদেরকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীনের সঙ্গে চুক্তি হবার পর ৩ বছর কেটে গেলেও প্রতিশ্রুত অর্র্থের মাত্র এক-চতুর্থাংশ ছাড় করেছে। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট