বাংলাদেশ-মিয়ানমার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একমত

সীমান্তে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী ন্যাপিড’তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিও থান। অন্যদিকে বাংলাদেশের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম। মিয়ানমারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

জেনারেল মিও থান বলেছেন, বৈঠকে পারস্পরিক সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এসব খাতে সহযোগিতা করতে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ।

এছাড়া সীমান্ত প্রহরী বা বর্ডার গার্ডদের ওপর যেকোনো হামলার রিপোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে আঞ্চলিক কমান্ডার অথবা ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে অবহিত করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। আন্তঃসীমান্ত বিষয়ক অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কিত তথ্য বিনিময় করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

ঐ বৈঠকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সীমান্ত এলাকার সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতির প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া যেসব অপরাধীর সাজা ভোগ শেষ হয়েছে, তাদেরকে ফেরত দিতে এবং স্থল, সমুদ্রপথে যৌথ টহলের বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।

এ নিয়ে পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে অক্টোবরে বাংলাদেশে।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।