মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির নতুন প্রশাসন রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের সমস্যা ধাপে ধাপে সমাধানের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে বলে ঢাকার সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলে হয়েছে।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই খবরে বলা হয়েছে দেশটির রাখাইন অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এ আশ্বাস দিয়েছেন।
Your browser doesn’t support HTML5
রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিয়ানমারের সামরিক জান্তার
ঢাকায় সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ ক আব্দুল মোমেনের কাছে এই সংবাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন খবরটি তাঁর নজরে এসেছে এবং মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের যে সকল আশ্বাস দিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে তা উৎসাহব্যঞ্জক। তবে তিনি বলেন বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে হবে ।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলেছেন মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্য কতটা বিবেচনা যোগ্য তা ভেবে দেখতে হবে কারন রোহিঙ্গা সংকটের মুলে রয়েছে দেশটির সেনা বাহিনী। মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের আশ্বাস দিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা কতটুকু আমলে নেয়া যায় সে সম্পর্কে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার তরফে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের ওই ধরনের কথাকে এই মুহূর্তে বিবেচনায় নেয়াটা উচিত হবে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার যে কথা ছিল তা সামরিক অভ্যুত্থানের কারনে আর হয় নাই। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা অতি সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংকটের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে।