বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা জেলা শহরে বুধবার প্রকাশ্যে দিবালোকে যুবক রিফাত শরিফকে কুপিয়ে হত্যার সাথে জড়িত কেউ যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে জন্য সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বুধবার সংঘটিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর আদালত সীমান্তে রেড অ্যালার্ট ছাড়াও দেশের পুলিশ প্রধানকে আসামীরা যাতে দেশত্যাগ করতে না করতে পারে সে বিষয়ে তাঁকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিফাতের সকল হত্যাকারীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। বরগুনা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তাঁরা আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সংঘটিত রিফাত হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর সাথে ছিলেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। ঘটনার বিবরন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রিফাতের সাথে তাঁর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে দুই মাস আগে। বিয়ের আগ থেকেই হত্যাকারীদের একজন যার নাম নয়ন সে তাকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে এবং বাসায় মোবাইলে ফোন করে উত্যক্ত করতো বলে উল্লেখ করে মিন্নি বলেন সে এটা বিয়ের পরও অব্যাহত রাখে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় সেখানে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকলেও এই নব বিবাহিত তরুন দম্পতিকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাতে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। রিফাতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
Your browser doesn’t support HTML5
এদিকে, বাংলাদেশের বরগুনায় দিন-দুপুরে স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
চট্টগ্রামে পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনাকে দু:খজনক হিসাবে উল্লেখ করে ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার এবং অন্য যারা জড়িত আছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য উদ্যেগ নেয়া হয়েছ।
অনুষ্ঠানে দেশ সেরা ১০ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে পুলিশ বিভাগে ২৩ হাজার নারী কাজ করেন। এর মধ্যে ৭২জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা। প্রতিবছর কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ঢাকায় এই পদক দেয়া হলেও এবার এই আয়োজন হয়েছে চট্টগ্রামে।
Your browser doesn’t support HTML5