রোহিঙ্গা হিন্দুরা জীবনে প্রথমবার দুর্গাপূজো পালন করেছেন

মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা হিন্দুরা জীবনের প্রথমবারের মতো দুর্গাপূজো পালন করছেন। মিয়ানমার থেকে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৪৫০ জন রোহিঙ্গা হিন্দু জীবনে প্রথমবারের মতো দুর্গাপূজো উদযাপন করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় উখিয়া হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পূজো মণ্ডপ। উলুধ্বনি আর ঢোলের বোলে পুজো মন্ডপে যোগ দিচ্ছেন রোহিঙ্গা হিন্দুরা।

মিয়ানমার সরকারের নানা বিধি-নিষেধের কারণে কোনদিন দুর্গোৎসব করতে পারেনি রোহিঙ্গা হিন্দুরা। দুর্গাপূজো বলতে করেছেন ঘটপূজো। তাই শরণার্থী জীবনে এ যেন বাড়তি পাওয়া।

কক্সবাজারের ৩০০ পূজো মণ্ডপের সাথে এবার যোগ হয়েছে রোহিঙ্গা পূজো মন্ডপ। পূজো উপলক্ষ্যে ক্যাম্পের ১০১টি রোহিঙ্গা হিন্দু পরিবারে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, পৌরাণিক দেবতা দুর্গা সকল অশুভ শক্তির বিনাস করে জীবের দুর্গতি নাশ করেন। মিয়ানমারের যে অশুভ শক্তি রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া করেছে তাদেরও বিনাস হওয়া কথা উঠে আসে দুর্গাপূজোয়।

পুরাকালে রাজ্যহারা রাজা সুরথ যেভাবে দেবী দুর্গার পূজো করে মনের আশা পুরণের বর্ণনা আছে পুরাণে; একইভাবে মিয়ানমারে ফেরার প্রত্যাশা রাজ্যহারা হিন্দু রোহিঙ্গাদের।

Your browser doesn’t support HTML5

উখিয়া হিন্দু শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল।