সম্প্রতি একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক জরিপের ফলাফলে রাজধানী ঢাকার
স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে পর্ণ ছবির আসক্তির তথ্য উঠে আসলে তা
উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে।
মানুষের জন্যফাউন্ডেশনের ওই জরিপে উঠে এসেছে রাজধানীতে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের
প্রায় ৭৭ ভাগ কোন না কোন ভাবে পর্ণগ্রাফি দেখছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পর্ণ ছবির
আসক্তির তথ্য উঠে আসার পর সরকারেরও টনক নড়েছে।তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী
জানিয়েছেন সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশু
কিশোর-কিশোরীদের ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া সরকার
ইতিমধ্যেই ৫৬০টি পর্ণ সাইট বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যেখানে বিশ্বে বর্তমানে অগুনিত পর্ণ সাইট রয়েছে সেখানে নগণ্য কয়েকটি পর্ণ সাইট বন্ধ করে দেশের শিশু কিশোর-কিশোরীদের পর্ণগ্রাফির অন্ধকার জগত থেকে বাঁচান সম্ভব নয়। তাঁরা এ বিষয়ে অভিভাবকদের অসচেতনতাকে দায়ী করে বলেছেন এই অন্ধকার জগত শিশু কিশোর-কিশোরীদের সামনে জ্বলতে থাকা সম্ভাবনার সবটুকু আলোকে একটু একটু করে কেড়ে নিচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সমাজবিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিকৃত যৌন শিক্ষারমধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা এসব
শিশু কিশোর-কিশোরীরা পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাঁরা বলেছেন পারিবারিক বন্ধন ক্রমাগত ভবেশিথিল হতে থাকায় দেশে শিশু কিশোর-কিশোরী বান্ধব পরিবেশও ক্রমাগত ভাবে সীমিত হয়ে আসছে। এ থেক তাদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সমাজবিজ্ঞানীরা বলেছেন এ বিভ্রান্তিই তাদেরকে টেনে নিচ্ছে পর্ণগ্রাফির অন্ধকার জগতের দিকে।
এবিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকার সাথে আলাপ কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরসমাজবিজ্ঞান
বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার বলেন দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে শিশু
কিশোর-কিশোরীদের চাহিদার সাথে সমন্বয় রেখে সময় দেয়ার ব্যাপারে বাবা-মাসহ
পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের আগ্রহের ঘাতটির সুযোগে বাচ্চারা ঝুঁকে পড়ছে পর্ণগ্রাফির দিকে। তিনি এটাকে একটি উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
এ অশুভ পরিস্থিতি থেকে শিশু কিশোর-কিশোরীদের কি ভাবে দূরে রাখা যায় এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক সালমা আক্তার বলেন এটা প্রতিরোধ করা কষ্টকর কেননা বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজ প্রাপ্যতার কারনে পর্ণগ্রাফিও সহজলভ্য হয়ে পড়েছে।
বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা থেকে জহুরুল আলম।
Your browser doesn’t support HTML5