বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমান টাকা পাচার হচ্ছে: জিএফআই

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমান টাকা পাচার হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিনেন্সিয়াল ইণ্টিগ্রিটি (জিএফআই) এর সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৫ সালে প্রায় ৫৯০ কোটি আমেরিকান ডলার বা ৫০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে। ঐ বছর টাকা পাচারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান এবং বিশ্বের ১৪৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম ৩০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জিএফআই ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৪৮ টি দেশের টাকা পাচারের চিত্র তুলে ধরেছে যাতে দেখা যাচ্ছে ঐ এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ৬১৬৩ কোটি ডলার বা প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এই পরিমান টাকা বাংলাদেশের চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট যার পরিমান ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা তার চেয়েও অনেকটা বেশী। জিএফআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঐ এক দশকে বাংলাদেশ থেকে মোট পাচার হওয়া টাকার মধ্যে ২০১৩ এবং ২০১৪ সাল এই দুই বছরেই পাচার হয়েছে ১৮৭৭ কোটি ডলার যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৬৫,০০০ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীরা মূলত যে ৪ টি পন্থায় টাকা পাচার করে থাকে সেগুলো হচ্ছে আমদানি মূল্য বেশি দেখান বা ওভার ইনভয়েসিং, রফতানি মূল্য কম দেখান বা আন্ডার ইনভয়েসিং, হুন্ডি এবং ভিওআইপি ব্যবসা। বাংলাদেশ থেকে যে টাকা পাচার হচ্ছে সে বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিক এবং ইকনোমিক রিপোর্টেরস ফোরাম এর সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন।

মনোয়ার হোসেন বলেন টাকা পাচার বন্ধ করতে হলে দেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে এবং সেজন্য দুর্নীতি দমনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে জহুরুল আলমের রিপোর্ট।