ভারতের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট জনেরা

বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ভারতের চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিরোধী দল বিএনপি এক বিবৃতিতে বলেছে, নাগরিকত্ব আইনের পক্ষ ও বিপক্ষ গোষ্ঠির চলমান বিরোধ এখন সহিসংসতায় রূপ নিয়েছে। বিবৃতিতে দলটি ভারতের দিল্লিতে চলমান সহিসংতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি সব সময়ই ভারতের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং স্বাভাবিক পরিবেশ কামনা করে।


এদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মসলিশ, হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি সমমনা ইসলামী দলের পক্ষ থেকে দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেইটে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে ভারত সরকারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সমাবেশ থেকে বক্তারা মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে। বক্তরা বলেন, অন্যথায় জনগণ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারী দেয়া হয়।

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ ১২জন বিশিষ্ট নাগরিক এক যৌথ বিবৃতিতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া না গেলে প্রতিবেশী দেশগুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে- যা এ অঞ্চলের শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে।


শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভয়েস অফ আমেরিকার কাছে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে তিনি দারুনভাবে উদ্বিগ্ন। বিশিষ্ট নাগারিকদের যৌথ বিবৃতিতে অন্যান্য স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- সাংবাদিক আব্দুল গফফার চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের জনগণকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সম্মুন্নত রাখার আহবান জানানো হয়।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে আমীর খসরু'র রিপোর্ট।