সৌদি আরবে ধরপাকড়, একদিনেই বাংলাদেশে ফিরেছেন ২০০ জন

সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের দুর্দিন যাচ্ছে। যদিও এক সময় বাংলাদেশী শ্রমিকদের কদর ছিল। অবৈধ বিদেশী শ্রমিক খেদাও অভিযানে বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কারাগারগুলোতেও ঠাঁই নেই। রিয়াদে আজিজিয়া কারাগারে ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সাইফুল। আকামার মেয়াদ আরো ৬ মাস বাকি ছিল।

তিনি জানান, এই কারাগারে ৫ থেকে ৬শ’ বাংলাদেশী শ্রমিক আটক রয়েছেন। এর বেশিরভাগকেই দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। গত শুক্রবার ২শ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। শনিবার রাতে আরো ১শ’ ফিরবেন। এ নিয়ে গত ১০ মাসে ফিরেছেন ১৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। যারা দেশে ফিরে আসেন তাদেরকে ব্র্যাক বিমানবন্দরে খাবারসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানের ব্যবস্থা করে থাকে। এর দায়িত্বে রয়েছেন শরিফুল হাসান।

গোপালগঞ্জের সম্রাট শেখ। ক্ষুব্ধ কন্ঠে বললেন, আট মাস বাকি ছিল আকামার। নামাজ পড়ে বের হয়েছেন এর মধ্যেই তাকে ধরে নিয়ে যায়। কোন কথা না শুনে সোজা বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। কুড়িগ্রামের আকমত আলী বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল। ১০ মাস বৈধভাবে সৌদি আরবে থাকার কাগজপত্রও ছিল। কিন্তু সৌদি পুলিশ এতে কান দেয়নি। দেশে ফেরত বেশিরভাগ কর্মীর অভিযোগ, দূতাবাস কিছু করে না। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দায় নিচ্ছে না।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।