মিয়ানমারের রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এক প্রস্তাব পাস করা হয়েছে শুক্রবার।
প্রস্তাবে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গা এবং অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষমূলক উত্তেজনা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়। পাস করা প্রস্তাবে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর নৃশংতার কারণে চার দশক ধরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
প্রস্তাবে জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলা হয়, মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ। প্রস্তাবে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সাথে নিজ দেশে ফিরে যাবার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এই প্রস্তাব দ্বিমুখী, বৈষম্যমূলক এবং রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রসূত।
এই প্রস্তাবটি পালনের ক্ষেত্রে আইনী বাধ্য-বাধকতা না থাকলেও আন্তর্জাতিক মতামতের ক্ষেত্রে এর বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৩৪ দেশ ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি এবং ভোটদানে বিরত থাকে ২৮টি দেশ।
Your browser doesn’t support HTML5
ঢাকা থেকে আমীর খসরু'র রিপোর্ট।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সাধরণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এর আগে এ মাসেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এসব কারণে মিয়ানমারের ওপরে একধরনের আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকগণ। আর এসব বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর।
Your browser doesn’t support HTML5
অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীরের মন্তব্য