রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের বৈঠক স্থগিত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে বলে ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে বলে ঢাকায় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষ পর্যন্ত এ বছরের মে মাসে অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সম্প্রতি মিয়ানমার জানিয়ে দিয়েছে করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে এই সময়ে বৈঠক অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। আগস্টের দিকে একটি বৈঠক হবার কথা থাকলেও মিয়ানমারের দিক থেকে অনিচ্ছা এবং সদিচ্ছার অভাবের কথা জানা গেছে।

মিয়ানমারের রাখাইনসহ ওইসব অঞ্চলে অনেকদিন ধরে সে দেশের সেনাসহ নিরাপত্তাবাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র রক্তাক্ত লড়াই চলছে।

MA3

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার মিশেল বিসালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিগত সপ্তাখানেক সময়েই ১০ হাজারের বেশি রাখাইনবাসী তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ২০১৯ সালের ২১ জুন রাখাইনে ইন্টারনেট বন্ধ করার এক বছরের বেশি সময় পরেও তা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অব্যাহত রেখেছে। ঢাকায় সাবেক কূটনীতিক এবং বিশেষজ্ঞগণ এসব ঘটনার প্রভাব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে ও ভবিষ্যতেও দেখা দেবে বলে মনে করেন।

shahidul

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না করার জন্য এসব মিয়ানমারের কৌশলমাত্র। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বাংলাদেশের উচিত হবে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়েও চেষ্টা চালানো। যদি মিয়ানমার এতে অনীহা দেখায় তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানানো উচিত আন্তর্জাতিক চাপবৃদ্ধি এবং কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি মোকাবেলার স্বার্থেই।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট