সরকারের ওপর নির্ভর করে
জিএসপি সুবিধা
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট আবারও জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়টি নির্ভর করছে সরকার কতটা অগ্রগতি আনতে পেরেছে তার ওপর। তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা পেতে হলে যেকোন দেশের ক্ষেত্রেই শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা বাধ্যতামূলক। কয়দিন আগেই বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জিএসপি না দিলে টিকফা কার্যকর হবে না। বার্নিকাট অবশ্য টিকফা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। এক ফেসবুক চ্যাটে বার্নিকাট কথা বলছিলেন কতিপয় বন্ধুর সঙ্গে। এই চ্যাটে তিনি শ্রমিক অধিকার, শ্রমিক নিরাপত্তায় অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ এসব ক্ষেত্রে যতটুকু অগ্রগতি করবে সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত থাকবে। ঢাকায় বার্নিকাটের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ ফেসবুক চ্যাটের আয়োজন করা হয়। শেয়ার করা হয় বিভিন্ন ছবি। অনেকেই এসব ছবি পছন্দ করেছেন। একজন প্রশ্নকর্তা রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান, সাধারণ বাংলাদেশিদের সম্পর্কে তার ধারণা কি? জবাবে বার্নিকাট বলেন, এখানকার মানুষ প্রায় সব কিছু নিয়েই আলোচনা করে। নিজেদের এবং বিশ্বের ইতিহাস সম্পর্কেও তাদের জানাশোনা দেখে মুগ্ধ হতে হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এক পৃথক ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে বড় দিন পালন করতে পারাটা সত্যিই বিশেষ কিছু। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা কি এই প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট বলেন, এটা এমন এক শিল্প যেটি বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সাহায্য করেছে। ইউএসআইডি ইতিমধ্যেই এই শিল্পে অবদান রাখতে ঋণ সুবিধা চালু করেছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট