মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা 

প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল। ছবিঃ বিজেপি প্রকাশিত।

আসন্ন বিধানসভা উপ-নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য বিজেপি তাদের প্রার্থী হিসেবে প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নাম ঘোষণা করেছে। ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ৩০শে সেপ্টেম্বর। ফল ঘোষণা হবে তেসরা অক্টোবর। তৃণমূল নেত্রীর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য এই ভোটে জয়ী হওয়া আবশ্যিক। আজকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন।

প্রিয়ঙ্কা ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ যুব শাখার উপ-সভানেত্রী।লড়াকু মেজাজের

৪০ বছর বয়সী এই নেত্রী পেশায় আইনজীবী, ভাল বক্তৃতা দেন। বিজেপি তাঁকে বলেছে, সাহসী মহিলা। কারণ, মমতার নিজের কেন্দ্রে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে দলের অনেকেই রাজি হননি।

প্রিয়ঙ্কা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়েছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি পেয়েছেন। তা ছাড়া বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে তাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রাক্তন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র আইন উপদেষ্টা ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বাবুলই তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ বছর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে অবশ্য প্রিয়ঙ্কা তাঁর তৃণমূল প্রতিদ্বন্দীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তার আগে ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনেও হেরেছেন। কিন্তু অতিসম্প্রতি একটা বড় মামলায় বিজেপির হয়ে জয় নিয়ে এসেছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছে, তার অন্যতম আইনজীবী ছিলেন প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল।

বিজেপি তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমি বাইরের থেকে আসিনি। ভবানীপুরেই আমার জন্ম। আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলব, এই রাজত্বে যে অন্যায় চলছে, দুর্নীতি ও অত্যাচার চলছে, তার থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আশা করব, ভবানীপুরের বাসিন্দারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।