আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্লিংকেন নাইজেরিয়া সফরে যাচ্ছেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন ৫ দিনের আফ্রিকা সফরে কেনিয়ার নাইরোবিতে সানকরা হোটেলে উন্নয়ন বিষয়ে আন্তঃসরকারি কতৃপক্ষের সভায় যোগ দিচ্ছেন, ১৭ই নভেম্বর, ২০২১ /ছবি/অ্যান্ড্রু হারনিক/এএফপি.

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফ্রিকার তিনটি দেশ সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা ও অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার জন্য নাইজেরিয়া সফর করবেন।

পররাষ্ট্র দপ্তর এ সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিল যে,পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি ও সম্প্রসারণ ও নিরাপত্তা এবংঅন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আবুজায় মিলিত হবেনI

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফ্রিকা মহাদেশে তার তিন-দেশের সফরের সূচনা করেছেন এই সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে যে বিভিন্ন কারণে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের "মন্দা" সৃষ্টি করেছে।

বুধবার কেনিয়ার নাইরোবিতে মানবাধিকার কর্মীদের একটি গোষ্ঠীর সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, ব্লিংকেন বলেছেন "এমনকি কেনিয়ার মতো প্রাণবন্ত গণতন্ত্র" ভুল তথ্য, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং ভোটারদের ভয় প্রদর্শনের মতো ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েছে।

"যুক্তরাষ্ট্রও এরকম চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত নয় । বাহ্যত একটি ঘটনার উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন," গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে অযোগ্য ঘোষণা করতে আইনপ্রণেতাদের বাধ্য করার প্রয়াসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের দ্বারা ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে ক্যাপিটল হিল এর হামলা একটি উদাহরণ। আমরা দেখেছি আমাদের নিজস্ব গণতন্ত্র কতটা ভঙ্গুর হতে পারে।"

যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক, অংশগ্রহণকারীদের বলেন যে, গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেগুলি সমাধানের বিষয়ে তিনি তাদের ধারণা শুনতে চান, সেইসাথে এই প্রচেষ্টাগুলিতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়ক হতে পারে তা জানতে চান। ।

ব্লিংকেন এই মন্তব্য করেন, প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক রাষ্ট্রদূত রেশেল ওমামোর সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনার আগে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে এই তিন জন তাদের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন। আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, কভিড মহামারীর অবসান এবং স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ, জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করা, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলা,গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, ব্লিংকেন ইথিওপিয়ায় সহিংসতার অবসান, সোমালিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সুদানের একটি বেসামরিক সরকারের রূপান্তরকে পুনরুজ্জীবিত করার মতো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক বিষয়গুলির দিকে ও নজর দেবে।

কেনিয়া, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য এবং ইথিওপিয়া, সুদান এবং সোমালিয়া সহ আঞ্চলিক দেশগুলির সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কেনিয়ায় ব্লিংকেনের আসন্ন সফরটি আফ্রিকায় তিন-দেশের সফরের অংশ যার মধ্যে নাইজেরিয়া এবং সেনেগাল সফরও রয়েছে। চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আমেরিকার ভাবমূর্তি উন্নত করাই তার সফরের অন্যতম লক্ষ্য।

করোনা ভাইরাস এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ নির্মূল করতে অর্থ এবং টিকার বিষয়ে বিশাল অবদান সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে খুব কম সাফল্য পেয়েছে।

(এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি এবং এফপি থেকে এসেছে)