সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে টানটান উত্তেজনার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার ভোর চারটা থেকে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5
বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের ছড়ি বা লাঠি, ছুরি, চাকু বা ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ নিষিদ্ধ থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে বা বসে কোন মিছিল করা যাবে না। আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। বিএনপি সম্ভাব্য এই রায় সম্পর্কে বলেছে, নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতেই এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করতে রাজপথে লাঠি হাতে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। র্যাব ও পুলিশ তল্লাশি করছে। আবাসিক হোটেলগুলোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের কড়াকড়ির কারণে বংশাল, ফকিরাপুলে বেশ কিছু হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জননিরাপত্তায় বিঘœ ঘটলে পুলিশের সঙ্গে থাকবে আওয়ামী লীগ। সারাদেশেই ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এই প্রথমবারের মতো কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গ্রামে-গঞ্জেও পুলিশ হানা দিচ্ছে।
ওদিকে বিএনপির তরফে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, গত ১ সপ্তাহে তাদের প্রায় ১১শ’ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।