ব্রিটেনের নির্বাচনে কোন দলই সংসদে সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি

ব্রিটেনের নির্বাচনে ভোট গননার পর দেখা গেছে কোন দলই সংসদে সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং এর ফলে রাজনীতিকরা বেতারে, টেলিভিশনে এবং টুইটারে এ কথাই ভাবার চেষ্টা করছেন যে এ রকম ফলাফলের অর্থ কি।

বিতর্কের প্রধান বিষয়টিই হচ্ছে যে ভোটদাতারা কি ব্রেক্সিটকে প্রত্যাখ্যান করল, কিংবা অন্তত ইউরপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে‘র কট্টর অবস্থানকে? টেরিজা মে ‘র ঐ অবস্থানে কেবল যে ব্রিটেন ই.ইউর সদস্যপদ থেকে বেরিয়ে আসছে তাই-ই নয় বরঞ্চ তারা অভিন্ন বাজার ব্যবস্থা এবং শুল্ক ব্যবস্থা থেকেও বেরিয়ে আসার কথা ভাবছে।

ই.ইউ’র আলোচনাকারীদের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু হবার কথা আর দিন দশকের মধ্যেই। ই.ইউর কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে এই আলোচনা বিলম্বিত করা উচিৎ নয় এবং তারা এই আশংকা ও প্রকাশ করেছে যে নির্বাচনের ফলাফলে, এখন ব্রিটেনের এই অপেক্ষাকৃত দূর্বল সরকারের সঙ্গে আলোচনা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের এক সময়কার উপদেষ্টা অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল এক টুইট বার্তায় লিখেছেন যে এই নির্বাচনে মে এবং কট্টরবাদি ব্রেক্সিটকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। লিবেরাল ডেমক্র্যাটের নেতা টিম ফ্যারন ও একই রকম মন্তব্য করেন। তবে রক্ষনশীল দলের একজন প্রবীণ নেতা জন রেডউড দাবি করেন যে এই ফলাফল এ কথা ইঙ্গিত করে না যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে ব্রিটেনের অবস্থান আরো নমনীয় হবার কোন দরকার আছে।