বোরকা নিষিদ্ধ, মার্কেল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন- লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট

বোরকা নিষিদ্ধ, মার্কেল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন
ফ্রান্সের পর জার্মানিতেও বোরকা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সরকার। পুরোপুরি নয়, আংশিক। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, গাড়ি চালনাকালে বোরকা পড়া যাবে না। জার্মান বিচারকদের এসোসিয়েশন কোর্টে স্কার্ফ পড়া নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছে। সরকার অবশ্য এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি।
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থেকেই ফ্রান্স মুসলিম মহিলাদের সাতাঁরের পোশাক বুরকিনি অন্তত চারটি শহরে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্র সৈকতে নামার কারণে চারজন মহিলাকে ৩৮ ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে। ২০১০ সন থেকে ফ্রান্সে বোরকা নিষিদ্ধ রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর আগাগোড়াই বোরকা নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন। বলেছিলেন, বোরকা একটি ধর্মীয় অংশ। জার্মানির সংবিধানে সব ধর্মের স্থান রয়েছে। কিন্তু তার প্রতিপক্ষ এ নিয়ে দেশব্যাপি আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। তারা বলছে, শরনার্থীদের কারণে জঙ্গি নিশানার মধ্যে রয়েছে জার্মানি। বোরকা জাতীয় পোশাক এক ধরণের নিরাপত্তা হুমকি। অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এসবের খুব একটা কান দেন না। তার মতে শরনার্থীরা এদেশে সন্ত্রাস নিয়ে আসেনি। এটা ছিল মাত্র এক সপ্তাহ আগের ঘটনা। শুক্রবার তিনি মত পাল্টেছেন। বলেছেন, আংশিক হলেও বোরকা নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, জার্মান সংস্কৃতি হচ্ছে একে অপরকে জানা, মুখ দেখা, কথা বলা। কিন্তু শরীর ঢেকে, মুখ ঢেকে থাকলে মনে হয় জার্মান সংস্কৃতিকেই আড়াল করা হচ্ছে। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডি মাইজিয়েরে বলেছেন, জনমত উপেক্ষ করে আমরা চুপ থাকতে পারি না।
অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির নির্বাহী কমিটিও বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের এই সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফ্রান্সেও আগামী বছর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী:

Your browser doesn’t support HTML5

mrc