করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের সর্বত্র ধাক্কা দিয়েছে। তারই মধ্যে এই মুহূর্তে বোধহয় সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা রাজধানী দিল্লির। সেখানে মৃত্যুহার এতই বেড়ে গেছে যে গোটা শহরটাই শ্মশানে পরিণত হয়েছে। বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ঠাঁই পাওয়ার কথা তো ভাবাই যাচ্ছে না। এমনকি আলাদা করে অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন করাও সম্ভব হচ্ছে না। নানা জায়গায় গণ চিতা জ্বেলে মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে। একটি শ্মশানে এনজিও থেকে দাহের কাজ পরিচালনা করছেন কিছু মানুষ। তাঁরা জানিয়েছেন, আগে যেখানে দিনে ৮ থেকে ১০টি দেহ দাহ করার জন্য আসত, এখন সেখানে তার দশগুণ আসছে। রোজ ১০০ থেকে একশো কুড়ি। গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে রোজ করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪০০। চিতা জ্বালানোর কাঠ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। এরই মধ্যে কিছু অসাধু লোক জ্বালানি কাঠের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাইছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, অন্য ধর্মের মানুষ, যেমন মুসলমান আর খ্রিস্টানদের কবর দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম দু-একজনের পরিবার মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।
Your browser doesn’t support HTML5
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা রাজধানী দিল্লির
তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অক্সিজেনের আকাল। সুপ্রিম কোর্ট গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল, এর বিহিত কবে হবে। তার জবাবে আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকালই দিল্লিকে ৭৩০ মেগাটন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা এখনও অপ্রতুল। এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে বলে বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে দিয়েছেন।