ইথোপিয়ার টিগ্রায় ও সুদানের মধ্যবর্তী নদীতে ভাসতে দেখা গেল মৃতদেহ

ফাইল ফটো : সুদান ও ইথোপিয়ার মাঝের টেকেজি নদী (রয়টার)

সুদানের একজন কর্মকর্তা বলছেন সেখানকার কাসালা প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রায় ৫০ টি মৃতদেহ পেয়েছেন। আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তারা প্রতিবেশী ইথোপিয়ার টিগ্রায়ের যুদ্ধাঞ্চল থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। এদেরকে গত সপ্তাহ থেকে  এই দেশগুলোর মাঝে নদীতে ভাসতে দেখা যায় কারও কারও দেহে বন্দুকের আঘাত ছিল, কারও আবার হাত বাঁধা ছিল।

সুদানের একজন কর্মকর্তা বলছেন সেখানকার কাসালা প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রায় ৫০ টি মৃতদেহ পেয়েছেন। আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তারা প্রতিবেশী ইথোপিয়ার টিগ্রায়ের যুদ্ধাঞ্চল থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। এদেরকে গত সপ্তাহ থেকে এই দেশগুলোর মাঝে নদীতে ভাসতে দেখা যায় কারও কারও দেহে বন্দুকের আঘাত ছিল, কারও আবার হাত বাঁধা ছিল।

সোমবার একজন কর্মকর্তা বলেন মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য ফরেনসিক তদন্তের প্রয়োজন আছে। কর্মকর্তাটি তাঁর নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা বলেন কারণ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি তাঁর নেই।

সুদান সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী হামদায়াত এলাকার দু জন ইথোপিয়ো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেতিত নদীতে যা কীনা ইথোপিয়ায় টেকেজি নামে পরিচিত সেখানে মরদেহ দেখার কথা জানিয়েছেন। টিগ্রায়ে ন’মাস ধরে চলে আসা সব চেয়ে সমস্যা সঙ্কুল এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে এই নদী প্রবাহিত হয়েছে।

নিকটবর্তী টিগ্রায়ের হুমেরা শহর থেকে সুদানে পালিয়ে আসা একজন শৈল্য চিকিত্সক তিউদোরোস তেফেরা দ্য এসোসিয়েটেড প্রেসকে সোমবার জানান যে একজন পুরুষের হাত বাঁধা ছিল এবং অন্য একজন নারীর বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অন্যান্য শরনার্থী অন্তত আরও দশটি মৃতদেহ সমাহিত করেছে বলে তিনি জানান। তবে সোমবার ইথোপিয়ার সরকারের তৈরি একটি টুইটার আকাউন্টে ঐ মরদেহ পাওয়ার সংবাদকে টিগ্রায় বাহিনীর অপপ্রচারকদের ভুয়া অভিযান বলে অভিহিত করা হয়। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসআইডি)’র প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার সোমবার সুদানের একটি শরনার্থী শিবির পরিদর্শন করেন যেখানে টিগ্রায়ের লড়াই থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার ইথোপীয় আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে তারা সুদানের ভেতর থেকে টিগ্রায় অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহের চেষ্টা করছে যদিও খার্তুম ও আদ্দিস আবাবার মধ্যে সম্পর্ক ভাল নয়।