বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় একটি কার্গো জাহাজ যাত্রীবাহী লঞ্চ ছাবিত আল হাসানকে ধাক্কা দিলে তা অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নদীতে ডুবে যায়। সোমবার ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে পানির ওপরে টেনে তোলার পর সেটির খোল থেকে ২১ টি এবং উদ্ধারকারীরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় আরও ৯টি মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারকারীরা শীতলক্ষ্যা নদীর ভাটিতে কয়লাঘাট এলাকায় আজ আরও ৫ টি মরদেহ উদ্ধার করে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলোর অধিকাংশই তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যে কার্গো জাহাজটির ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবেছে সেটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Your browser doesn’t support HTML5
হর হামেশাই সড়ক ও নৌপথে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর কাছে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার তরফে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন এ সকল দুর্ঘটনা রোধ করা সরকারের যে সকল সংস্থার দায়িত্ব তারা তাদের কর্তব্য পালন করেনা বলেই দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এদিকে, বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে ভারত সরকার শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবরে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষতিগ্রস্থদের সমবেদনা জানিয়েছে।