আইএসের অনুমোদন নিয়েই ঢাকা হামলা

Bangladesh Attacks

আইএসের অনুমোদন নিয়েই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই প্রথমবারের মতো পুলিশ আইএসের সঙ্গে বেকারির হামলাকারী জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ লাভের কথা স্বীকার করলো। এই হামলায় ২২ জন নিহত হন এবং যার অধিকাংশই বিদেশি। খবরে বলা হয়, গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম আহমেদ চৌধুরী। যাকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তিনি পুলিশি অভিযানে নিহত হন। তার লেখা নিবন্ধ ও সাক্ষাতকার বেকারি হামলার আগে ও পরে আইএসের প্রকাশনা দাবিক ও রুমিয়ায় ছাপা হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে ঢাকার আজিমপুরে পুলিশি অভিযানকালে আত্মহত্যাকারী জঙ্গি তানভীর কাদেরী আইএসের সঙ্গে যোগাযোগকারী সর্বশেষ বাংলাদেশি জঙ্গি। তানভীরের ছেলে আবীরের ভাষ্যমতে, তারা একটি সুখী পরিবার ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে হজ করার পরে তার বাবা-মায়ের আচরণে পরিবর্তন আসে। গত জুনে রমজানের শুরুর দিকে বেকারি হামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়। পুলিশ আরো নিশ্চিত যে, গত ডিসেম্বরে ঢাকায় তামিম চৌধুরীর এক ঘনিষ্ঠ অনুসারীর কাছে পাঠানো ৫০ হাজার ডলার যা জব্দ করা হয়েছিল। সে অর্থ বৃটেন-ভিত্তিক যে কোম্পানি থেকে এসেছিল, তার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল সুজনÑ কয়েকদিন পরেই সিরিয়ায় নিহত হয়। ওদিকে, নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ফের সতর্ক করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি মনে করে, বাংলাদেশে এখনও সন্ত্রাসী হামলার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

Your browser doesn’t support HTML5

মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট