দুই প্রজাতির মশার মধ্যে স্ত্রী এনোফিলিস মশার কামড়ে দেহে প্রবেশ করে স্যালাইভা । তারপর প্রোটিস্ট নামক অনুজীবের মাধ্যমে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে পরজীবি,দেখা দেয় ম্যালেরিয়া । মে থেকে অক্টোবরে মানুষের ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা বেড়ে যায় প্রায় ১০গুন । সাধারণত ফলমূলের রস মশার খাবার হলেও গর্ভকালে পুষ্টির জন্য দরকার হয় রক্তের । এই ক্ষেত্রে এনোফিলিসের প্রথম পছন্দ মানবদেহ । মশার কামড়ে এই রোগটি হয় এবং জ্বর এর প্রধান লক্ষণ তাই ম্যালেরিয়া জ্বর নামেই প্রচলিত রোগটি ।
কিভাবে বুঝবেন ম্যালেরিয়া হয়েছে কিনা? ব্র্যাকের উর্ধতন কর্মসূচী ব্যবস্থাপক ডা.মোক্তাদির কবীর বললেন,শরীরে ক্লান্তির সাথে দুইদিনের বেশী কাপুনিসহ জ্বর কিংবা হজমের সমস্যা সাথে রক্ত শূণ্যতা, কিডনি সমস্যা, শ্বাস কষ্ট, জন্ডিস, খিঁচুনি, রক্তে গ্লুকোজ কমে যেতে পারে ম্যালেরিয়ার লক্ষণ হিসেবে ।
বাইট-ডা.কবীর।(১)
শুধুমাত্র জ্বর দেখে ২৫ভাগ ম্যালেরিয়া সনাক্ত হয় বাকি ৭৫ ভাগ লক্ষণের উপর নির্ভর করে বলে জানালেন,আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা.ওয়াসিফ আলী খান।
বাইট-ডা.ওয়াসিফ।(১)
ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুহারে এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ পূরণ করেছে ২০১২ সালেই । কথা ছিল ২০১৫ তে যা পূরণ করার । জাতীয় ম্যলেরিয়া নিয়ন্ত্রন কর্মসুচীর পরিসংখ্যান বলছে, এখনো দেশের ১৩টি জেলার প্রায় ১কোটি লোক ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন । এই সময়টাতে গর্ভবতী মায়েদের অসচেতনতার কথা বললেন ডা.ওয়াসিফ ।
বাইট---ওয়াসিফ বাইট -২(২)
নিজেদের সচেতনতা সর্বপ্রথম দরকার যেকোন রোগ থেকে বাঁচতে । বাড়ির গাছের টব ও জলাধার গুলো শুকনো ও পানি শূন্য রাখা,বৃষ্টির পানি এবং স্বচ্ছ পানি কোথাও যেন না জমে থাকে,সেদিকে লক্ষ্য রাখাঁ ।
ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে সব হাসপাতালেই । বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল এবং পাহাড়ী এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদূর্ভাব বেশী তাই থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা জেলা হাসপাতালগুলোতে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন । কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে । মশা নিধনে সবগুলোর সংস্থার সমন্বয়ের কথা বললেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রন কর্মসুচীর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড.জহিরুল করীম।
বাইট—জহিরুল(২)
শহর কিংবা গ্রাম মশা মুক্ত নিশ্চিন্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে মানুষের ভূমিকাই মুখ্য । তাতে করে ঝুঁকি মুক্ত থাকবে আপনার আমার পরিবার মশাবাহিত রোগ থেকে ।
শরিফ উল হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার, সহযোগীতায় ভয়েস অফ অ্যামেরিকা এবং ইউ এস আই ডি।
Your browser doesn’t support HTML5