যক্ষ্মা প্রতিরোধ

যক্ষ্মা প্রতিরোধ

শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা

যক্ষ্মা বা টিবি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত প্রাণঘাতী রোগ যা মাইক্রো ব্যাকটেরিয়া টিউবার কিউলোসিস নামক জীবাণুর আক্রমণে হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকে এই রোগ ছড়ায়। অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে যক্ষ্মা রোগের প্রকোপের দিক থেকে ২২টি অন্যতম দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ। যেখানে প্রতি ১লাখ মানুষের মধ্যে ২২৫ জন যক্ষ্মা রোগী পাওয়া যায়। ইউএসএআইডির’র অর্থায়নে টিবি কেয়ার টু প্রকল্পের ড.পল দারু বললেন…

বাংলাদেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের যেমন কিছু সফলতা রয়েছে তেমনি কিছু ঘাটতি এখনও রয়ে গেছে। সরকারের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সাথে ইউএসএআইডি বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে টিবি কেয়ার টু প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পের মূল কথা হচ্ছে, যেখানে সরকারি সেবা পাওয়া যায় সেখানে না গিয়ে অন্যান্য স্থানে কাজ করা, যার ফলে একদম সাধারণ মানুষের কাছে যেন এই সেবা পৌঁছে যায়।

বিভিন্ন ধরনের যক্ষ্মা প্রতিরোধের উপায় না থাকলেও টিকা নেয়ার মাধ্যমে মাত্র দুই ধরনের যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এবং রোগে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরি। ৬মাস নিয়মিত ওষুধ খেলে যক্ষ্মারোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মার ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। ফুসফুসে এবং সারা শরীরে যে যক্ষ্মাটা হয় সেটা টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় না।


২৪শে মার্চ আসছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এই দিবসের মাধ্যমে সুযোগ সৃষ্টি হয় যক্ষ্মা প্রতিরোধে আমাদের আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবার এবং মানুষের মধ্যে আরো সচেতনতা সৃষ্টি করার।

যক্ষ্মা প্রতিরোধে দরকার আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা। গন্তব্য যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ।

Your browser doesn’t support HTML5

যক্ষ্মা প্রতিরোধ