বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা

সুস্থ দেহ-সুস্থ মন। আর এই সুস্থ মনের জন্য চাই সুস্বাস্থ্য। মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৪৮ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ৭ এপ্রিল পালন করা হয়ে থাকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য কীট-পতঙ্গ বাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং স্লোগান করা হয়েছে ‘ছোট কামড়-বড় হুমকি’। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যা দ্রুত মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ড.সামিনা চৌধুরী আমাদের বললেন, বাংলাদেশের সাফল্যের কথা। বাংলাদেশ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে। এদেশের মায়েরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন স্বাস্থ্য সম্পর্কে।

আমাদের দেশে জীবন ধারণ প্রক্রিয়া উন্নত বিশ্বের চেয়ে আলাদা। তাই এখানে অনেক ধরনের রোগের বিস্তার দেহকা যায়। কীট-পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায় দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর মধ্যে। যেখানে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। ফলাফল অপুষ্টির শিকার। সাথে সাথে মশা, মাছিসহ কীট-পতঙ্গের কামড়ে জটিল সব রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া সহ আরো বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি এইসব কীটের দ্বারা।

মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এর গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। সেই লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের পাশাপাশি এখনও রয়ে গেছে কিছু ঘাটতি। এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার এখনো কমানো যায় নি এবং হাসপাতালে সন্তান প্রসবের হার এখনো আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছেনি। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি প্রয়োজন।

এই সমস্ত ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে এখনও মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু এবং অপুষ্টি-এই তিনটি জায়গায় আরো কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে ইউএসএআইডি বাংলাদেশ, সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানালেন ড.সামিনা ।

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিপ্বার্শিক সবক্ষেত্রে। খুব শীঘ্রই মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

Your browser doesn’t support HTML5

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস