নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৪

ড.হালিদা আক্তার

শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা
নিরাপদ মাতৃত্বকে নারীর অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৮ মে পালিত হচ্ছে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’। ড.হালিদা আক্তার, ‘এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারী প্রজেক্ট’এর চিফ অব পার্টি । তিনি আমাদের বললেন মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে। মাতৃস্বাস্থ্য এবং নবজাতকের মৃত্যুহার কমিয়ে আনা এমডিজি গোলের অন্যতম একটি অংশ। এমডিজি গোল অর্জনে বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। ২০০৫ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি লাখে ২৩৩ জন, ২০১৪তে সেই হার এখন ১৯৪। লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে ১৪৩এ নেমে আসা। এবং যেভাবে এগুচ্ছে বাংলাদেশ, তাতে করে সাফল্য সুনিশ্চিত।

তবে গর্ভকালীন কিছু জটিলতার কারণে এখনও মাতৃমৃত্যুর হার আশানুরূপ হারে কমানো সম্ভব হয় নি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এক্লামশিয়া, প্রসব পরবর্তী সময়ে রক্তক্ষরণ, খিচুনি এবং মায়ের আয়রনের অভাব।

একজন মায়ের সুস্বাস্থ্য অনেকখানি নির্ভর করে তার সঠিক সময়ে বিয়ে এবং সন্তান ধারণ করার সময়ের উপর। যে সব মায়েদের বাল্য বিবাহ হয় তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, অনিরাপদ গর্ভপাত, এ সবকিছুর জন্যই দায়ী বাল্যবিবাহ। আমাদের দেশে এখনও ৭৮ শতাংশ কিশোরীর ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায় এবং ১৯ বছর বয়সের আগেই সন্তান ধারণ করে। এতে করে সৃষ্টি হয় অনেক জটিলতার।
ইউএসএআইডির অর্থায়নে ‘এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারী প্রজেক্ট’ পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রজেক্টের আওতায় সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশে ৬৪টি জেলায় ৩৩০টি সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক আছে। এই বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছে অবিরত।

মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় – বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এই গতিতে এগুতে থাকলে সবার আগে মাতৃস্বাস্থ্য এবং শিশুমৃত্যু হার কমানোর দিক দিয়ে বাংলাদেশ এমডিজি গোল অর্জন করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই সফলতার দ্বারপ্রান্তে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও সচেতনতার অভাব থাকা স্বত্তেও, সঠিক পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

Your browser doesn’t support HTML5

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৪