যুব দিবসঃ মানসিক স্বাস্থ্যই মুখ্য

শরীফ উল হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অব আমেরিকা

একটি জাতির মূল শক্তি হচ্ছে তার যুব সমাজ । তাদের উপর নির্ভর করেই সমাজ এগিয়ে যায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের পথে । যুব সমাজের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ এবং বিশ্ব সমাজে তাদের অংশীদারীত্ব উদযাপন করার জন্য ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১২ই আগস্ট বিশ্বজুড়ে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয়েছে । ২০১৪ সালে দিবসটির থিম ‘যৌবন এবং মা্নসিক স্বাস্থ্য’ এর অধীনে স্লোগান হচ্ছে ‘মানসিক স্বাস্থ্যই মুখ্য’।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পেইন, আলোচনা সভা, বিনামূল্যে রক্তদানসহ নানা সচেতনতা মূলক কর্মসূচী।
মানসিক সমস্যা আছে এমন একজন যুবক বৈষম্য, কলংক সহ নানা ধরনের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিকুলতার সম্মুক্ষীণ হতে পারে । যুবকরা যেকোন কাজে সফলতা অর্জন করতে পারে, যদি তার সাথে থাকে অদম্য মনোবল । কিন্তু তার জন্য দরকার মানসিক সুস্বাস্থ্য । মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা শারমিন সুলতানা বললেন, বতর্মান সময়ে তরুণ সমাজের মধ্যে মন খারাপ করা বা ডিপ্রেশনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কারণ তাদের বিনোদনের জায়গা কিংবা উপলক্ষ কমে যাছে । এই মন খারাপ করে থাকতে থাকতে অনেক সময় সুইসাইড করতেও দ্বি্ধা করছে না তরুণ সমাজ । এর থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে ডাঃ শারমিন বললেন, যার যেই কাজ করতে ভালো লাগে যেমন বই পড়া, সিনেমা দেখা, গান শোনা অথবা প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি, মোট কথা যেভাবে মনকে ভাল এবং সুস্থ রাখা যায় তাই করতে হবে । একা একা জীবন-যাপন করার প্রবণতা পরিহার করতে হবে ।

কৈশোর পেরিয়ে একটি ছেলে অথবা মেয়ে পরিণত হয় যৌবনে। ঠিক সেই সময়টকে যারা কাজে লাগায় তারাই উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে। যুবক শ্রেনীর উপর নির্ভর করে একটি জাতির ভবিষ্যত। বাংলাদেশের যুব সমাজের মেধা এবং কর্মশক্তির অভাব নেই। আমরা ভরসা করতেই পারি তাদের উপর। তারাই আমাদের এনে দেবে সুন্দর আগামী।

Your browser doesn’t support HTML5

যুব দিবসঃ মানসিক স্বাস্থ্যই মুখ্য