ক্ষুধা নিরসনে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

আঙ্গুর নাহার মন্টি

ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইএফপিআরআই) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক (জিএইচআই) ২০১৪ তে ক্ষুধা নিরসনে এক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ৫৭। গত বছর এই অবস্থান ছিল ৫৮।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক সূচকগুলোতে বড় পরিসরে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বেসরকারি খাত ও সরকারের নেওয়া সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কারণে ১৯৯০ থেকে ২০১৪ সাল সময়ে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের ৩৬.৬ পয়েন্ট থেকে কমে হয়েছে ১৯.১ পয়েন্ট। ক্ষুধা নিরসনে বাংলাদেশের এ অর্জন সার্ক দেশগুলোর মধ্যেও সর্বোচ্চ।

এদিকে এটিও সত্যি যে এখনও বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তাও শক্ত অবস্থানে নেই। এক্ষেত্রে বিশ্বের ১০৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮।এই বাস্তবতায় দেশে নানা আয়োজনে গত ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস এবং ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস পালিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সারোয়ার খান বলেন, এ বছর খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পারিবারিক কৃষি: প্রকৃতির সুরক্ষা, সবার জন্য খাদ্য’। বিশ্বের ক্ষুধা, দারিদ্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের বিবেচনায় এই প্রতিপাদ্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেবমতে, এ মুহুর্তে ৮০৩ মিলিয়ন মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না। এর বাইরে ঋতুভিত্তিক খাদ্য ঘাটতি ও অপুষ্টির শিকার জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে এ সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।

এবারের খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শ্রমশক্তির ৪৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশের ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ গ্রামীন পরিবারের মধ্যে ৮৪ ভাগ পরিবার ক্ষুদ্র চাষী। আমাদের কৃষিক্ষেত্রে সাফল্যের ৭০ ভাগই তাদের উৎপাদিত। বর্তমানে ক্ষুধা আর আমাদের সমস্যা নয়। ক্ষুধা নিবারণে সরকার দেশী-বিদেশী উৎস থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে বাজার স্থিতিশীল রাখছে।

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে জাতীয় খাদ্য নীতি ২০০৬, কর্মপরিকল্পনা ২০০৮ ও ২০১৫সহ বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আওতায় বর্তমান সরকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ২০০৯ গ্রহণ করেছে যাতে করে পরিবারের সবার জন্য যথেষ্ট পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়।

Your browser doesn’t support HTML5

ক্ষুধা নিরসনে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ