করোনা মুক্তি এবং ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত

বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বের করোনা মুক্তি এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণকে ইজরায়েলি আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার জন্য মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুক্রবার সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর।

বিশ্ব ব্যাপী করোনা মহামারি শুরুর পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত কড়া বিধি নিষেধের মধ্যেই রোজার ঈদে সামিল হলেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সরকারের নিষেধ উপেক্ষা করে গ্রামাঞ্চলে কিছু ময়দানে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও দেশের সিংহভাগ মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মেনেই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। রাজধানী ঢাকায় ঈদগাহ ময়দানে কিংবা কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় এবারও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় নাই। এবার ঢাকায় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে।

Your browser doesn’t support HTML5

করোনা মুক্তি এবং ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ঈদ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এদিকে, ইসলামি আন্দলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ঈদের জামাত শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে বিক্ষোভ করেছে। সেখানে বক্তারা বলেছেন ইসরাইল যখন গাজা উপত্যকায় বর্বর হামালা চালিয়ে নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে তখন পশ্চিমা বিশ্ব এবং জাতিসংঘ চুপ হয়ে আছে। তাঁরা এই বর্বর হামালা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে তাঁদের ভাষায় ইসরাইলকে উস্কানি দাতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। পরে বাংলাদেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনরা সহ ফিলিস্তিনের পতাকা এবং বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে শত শত বিক্ষোভ কারি ইসরাইল বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে পল্টন এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন।