লেখক, ব্লগার ও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৮ জঙ্গিকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ভূতপূর্ব অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। ২০১৫ সনের ৩১শে অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের তিনতলায় এই ব্লগারকে হত্যা করা হয়। বিচারক মো. মুজিবুর রহমান তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ওরা বেঁচে থাকলে বিচারের বাইরে থাকা সদস্যরা এ ধরনের অপরাধে উৎসাহিত হবে।
Your browser doesn’t support HTML5
ব্লগার হত্যার রায়ে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ ধরনের শাস্তিতে একদিকে নিহত ব্যক্তির আত্মীয়রা মানসিক শান্তি পাবেন। অন্যদিকে ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে ভয় পাবে, নিরুৎসাহিত হবে। জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার দীপন হত্যার কারণও উল্লেখ করেছেন বিচারক তার রায়ে। এতে বলা হয়, লেখক, ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার অংশ হিসেবে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশের জন্য দীপনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের মূল নির্দেশদাতা হলেন চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। বিচারক তার রায়ে আরও বলেন, যারা বই প্রকাশের দায়ে মানুষ খুন করতে পারে তারা রাষ্ট্র ও সমাজের শত্রু। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দীপনের মা ফরিদা প্রধান বলেন, রায় দিয়ে কি হবে! সে তো ফিরে আসবে না। তারপরও বলছি, এই রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। মানুষ কোনো অপরাধ করতে ভয় পাবে।