জাতিসংঘ মনোনীত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট পুনর্দখলের দাবি ইথোপিয়ার সরকারের

ইথিওপিয়ার লালিবেলাতে অবস্থিত পাথর বাঁধানো সেইন্ট মার্কিউরিউস চার্চ, জাতিসংঘ যাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলে চিহ্নিত করেছে, ফাইল ছবি ৭ই মার্চ, ২০১৯, ছবি এদুয়ার্দো সতেরাস/এএফপি

প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের দপ্তর থেকে জানানো হয় যে ইথিওপিয়ার সরকারী বাহিনী জাতিসংঘ মনোনীত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট উত্তরাঞ্চলীয় লালিবেলা শহরটি টিগ্রায় বাহিনীর কাছ থেকে পুণর্দখল করেছেI

প্রায় ৪ মাস আগে টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট এবং তাদের সহযোগী দলগুলো উত্তরাঞ্চলীয় ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলের এই ঐতিহাসিক শহরটি দখল করে নিয়েছিলI

টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফ, সরকারের লালিবেলা শহরটি পুনর্দখলের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করে নিI এই লালিবেলা শহরে রয়েছে পাথরে গড়া প্রাচীন বহু গির্জা এবং এটি লক্ষ লক্ষ ইথিওপিয়ান গোঁড়া খ্রীষ্টানদের এক পবিত্র স্থানI

টিপিএলএফ, ইথিওপিয়ার রাজধানী আদিস আবাবা অভিমুখে অভিযানের অংশ হিসাবে, গত সপ্তাহে বৃহৎ এলাকা দখলের ঘোষণা দেওয়ার পর ইথিওপিয়া সরকার জানায়, যে তারা লালিবেলাসহ আফার ও আমহারা অঞ্চলের বহু ছোট ছোট শহরের নিয়ন্ত্রণ আবার গ্রহণ করেছে।

তিন দশক ধরে টিপিএলএফ, ইথিওপিয়া শাসন করেছেI এক বছর আগে টিপিএলএফ, উত্তরাঞ্চলীয় টিগ্রায় রাজ্যে কতকগুলো সামরিক ঘাঁটি দখল করার পর, প্রধানমন্ত্রী আবি সেখানে সেনা মোতায়েন করলে যুদ্ধ শুরু হয়I

টিগ্রায় এলাকায় টিপিএলএফ,পরিচালিত কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই এলাকাটি এখন টিগ্রায় আঞ্চলিক সরকারের অধীনেI তবে ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় প্রশাসন দাবি করেছে যে সেই সরকার ভেঙে দেয়া হয়েছে এবং একটি অন্তর্বতী প্রশাসন এখন টিগ্রায়ে বৈধ ভাবে সরকার চালাচ্ছে।

পরবর্তীতে এই সংঘাত হাজার হাজার লোকের জীবন কেড়ে নেয়, লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্ত্যুচুত হয় এবং ৯০ লক্ষেরও বেশি লোক খাদ্য সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।