উগ্রবাদ : উৎকন্ঠা এবং উত্তরণ : পর্ব ১০

একুশ শতকের সূচনা লগ্নে এবং শীতল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিশ্ব জুড়ে এক ধরণের আশাবাদের জন্ম হয়েছিল , শান্তি ও প্রগতির বিষয়ে যদিও এই আশাবাদের অনেকটাই যে অলীক ছিল , ছিল কল্পনা প্রসূত সে কথাও আমরা এই ধারাবাহিক অনুষ্ঠানে আলোচনা করেছি। বিশ্বায়ন যেমন মানুষের মিলন ক্ষেত্রকে অনেকখানি সম্প্রসারিত করেছে , গোটা বিশ্ব বলা যেতে পারে হাতের মুঠির মধ্যে চলে এসছে, তারই পাশাপাশি , পরিহাসের ব্যাপার এ ও যে বিশ্বায়নের কারণে যে সব নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে , তার ফলে মানুষের জীবনে ধর্মটা প্রাধান্য পাচ্ছে আগের যে কোন সময়ের তূলনায় ।

এই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের কাছে সমাধান খোঁজার চেষ্টা কিন্তু নতুন কিছু নয় এবং তাকে শুধু মাত্র বিশ্বায়নের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পাবার একটা উপায় হিসেবে দেখারও কোন কারণ নেই, আমরা দেখেছি যে আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে রাজনৈতিক কারণে ধর্মের ব্যবহার হতে পারে।

তবে এই তাত্বিক বিশ্লেষণ সত্বেও এখনকার দিনে আমরা যা লক্ষ্য করছি, তা হলো সহিংস উগ্রবাদে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মকে এবং আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে হয় যে ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে । সত্যিকারের মুসলমানের জন্য এটা অত্যন্ত কষ্টের কারণ যে, যে ধর্মের নামকরণে এবং সংজ্ঞায় শান্তিটাই মূখ্য , সেই ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে অশান্তি সৃষ্টির জন্য ।

Your browser doesn’t support HTML5

উগ্রবাদ : উৎকন্ঠা এবং উত্তরণ : পর্ব ১০