মানাধিকার ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষের গোষ্ঠিগুলো আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষকে এ সপ্তায় গ্রেপ্তার চারজন সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা “শত্রুর পক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছিল”। তবে তাত্ক্ষণিক ভাবে এটা জানা যায়নি যে এই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে কীনা এবং সোমবার তাদেরকে আটক করার পর আফগান কর্তৃপক্ষ তাদের কি হতে পারে সে ব্যাপারেও কিছু জানায়নি।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হিউমান রাইটস ওয়াচ আফসোস করে বলেছে, “ আফগান সংঘাত যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে সকল পক্ষই মনে হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে”।তারা বলে, “ সঠিক কোন অপরাধের অভিযোগ না থাকলে এই চারজন সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত্”। মোহিব ওবায়দি, সানাউল্লাহ সায়েম, কুদরাত সুলতানি এবং বিসমিল্লাহ ওয়াতানদোস্ত নামের এই চারজন সাংবাদিক দক্ষিণের কান্দাহার প্রদেশে তালিবান দখলকৃত স্পিন বোলদাক জেলায় রিপোর্টিং সফর থেকে ফিরে আসার পর তাঁদের আটক করা হয়। তারা সেখানে এই খবর তদন্ত করতে গিয়েছিলেন যে তালিবান বিদ্রোহীরা সেখানে আফগানিস্তানের অসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে।
হিউমান রাইটস ওয়াচ বলেছে , “ এই সব গ্রেপ্তার এই বিষয়টি নিয়েই ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকেই তুলে ধনরে যে আফগান সরকার সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আফগানিস্তানের সাংবাদিকরা যে নানান রকম হুমকির মুখে রয়েছেন , তাতে তাদের নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য বিচারের সম্মুখীন করা উচিত্ নয়”।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার এই পদক্ষেপের পক্ষে কথা বলেন । তিনি জোর দিয়েই বলেন যে শত্রুর পক্ষে অপপ্রচার কিংবা দেশের স্বার্থ বিরোধী কোন কিছু সম্প্রচার করা বে-আইনি কাজ।
কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলেন যে আটক এই ব্যক্তিরা স্পিন বোল্ডাকে সাংবাদিকদের না যেতে সরকারের সতর্ক বার্তাকে অবহেলা করেছেন। সেখানেই ১৬ই জুলাই রয়টারের চিত্র-সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয় যখন তিনি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং তালিবান যোদ্ধাদের লড়াইয়ের খবর সংগ্রহ করছিলেন।
আফগান জার্নালিস্ট সেইফটি কমিটি এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে যথা শিগগির সম্ভব সাংবাদিকদের মুক্তির জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।