আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একটা বড় রকমের রদবদল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রিসভায় ৪৩ জন নতুন সদস্যকে নেওয়া হয়েছে, নানা কারণে বেশ কিছু পুরনো সদস্য বাদ পড়েছেন। পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ছিল যাঁদের তাঁদের মধ্যেও বাদ পড়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক ও শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাংগুয়ার। ধরে নেওয়া হচ্ছে, হর্ষবর্ধনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী অসন্তুষ্ট, কারণ তিনি কোভিড পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামলাতে পারেননি। শিক্ষামন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঠিকমতো দিশা দেখাতে পারেননি। আর শ্রমমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা ঘোচাতে পারেননি, তা ছাড়াও কোভিড পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ারও কোনো সুব্যবস্থা করতে পারেননি।
পশ্চিমবঙ্গের দু'জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন, দেবশ্রী চৌধুরী আর বাবুল সুপ্রিয়। তাঁদের জায়গায় নতুন চারজন এসেছেন। সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামানিক, শান্তনু ঠাকুর ও জন বার্লা। এঁদের মধ্যে নিশীথ প্রামানিক কোচবিহার জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ এবং পুরো মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বয়ঃকনিষ্ঠ, মাত্র ৩৫ বছর বয়েস। প্রধানমন্ত্রী এবার অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মকে মন্ত্রিসভায় এনেছেন, লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন।