প্যারিসের ব্যাঙ্গ ম্যাগাজিনে সন্ত্রাসী হামলা ঘটিয়ে ১২ জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই সহোদরকে উত্তর ফ্রান্সের একটি সার্ভিস স্টেশনে দেখা গেছে বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। রেইমস শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমের ভিয়ায়-কো-টেরে নামের ঐ স্থানে তাদেরকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ, তিরিশের কাছাকাছি বয়সী দু'ভাই নাইদ এবং চেরিফ কাউয়াচি যারা দুজনই ফরাসী নাগরিক, তাদেরকে শার্লী এবাদোহ মাগাজিনের ১২ জন হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করছেন।
ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস সাংবাদিকদের বলেছেন সন্দেহভাজন দুই জনই গোয়েন্দাদের কাছে পরিচিত। ফরাসী কৃতপক্ষ বলেছে তারা শশস্ত্র ও বিপদজনক। প্রধানমন্ত্রী আবারো হামলার আশংকা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ফরাসী কর্মকর্তারা বলেছেন আরো যে ৭ জন সন্দেভাজনের তালিকায় ছিল তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ বছর বয়সী হামিদ মৌরাদ কতৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।পুলিশ এখনো কাউচি ভাতৃদ্বয়কে খুঁজছে।
ঐ ঘটনায় দেশজুড়ে পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দে জরুরী মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক করে শোক নীরবতা পালনের ঘোষনা দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বুধবার শার্লী এবদোহ কার্যালয়ে সম্পাদকীয় বৈঠকের সময় মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা ঢুকে 'গড ইজ গ্রেট' বলে চিৎকার দিতে দিতে এলোপাথাড়ী গুলী চালায়। এ সময় তারা আরো বলে যে তারা নবীজী মোহাম্মদ (স:) এর জন্য প্রতিশোধ নিচ্ছে। ২০১১ সালে ঐ পত্রিকায় নবীর কার্টূন ছাপানোর জন্য তখন একার সেখানে হামলা করা হয়েছিল।
যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বুধবার হামলার ঘটনার পর নিহতদের উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ করে ঘটনার নিন্দা জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন এ ধরণের সন্ত্রাসী ঘটনা একটি ঐক্যবদ্ধ সন্ত্রাসী প্রচেষ্টা। ফ্রান্সের মুসলমান নেতৃবৃন্দ ঘটনার নিন্দা জানান।