বিশ্বকাপে ৭টি করে ক্যামেরা একেকটি গোলবারের মুখে

ব্রাজিলে ২০১৪ সালে এবারের ৩২ জাতি বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথমবারের ন্যায় ব্যাবহৃত হচ্ছে গোল-লাইন প্রযুক্তি।

১৪টি ক্যামেরার ৭টি করে ক্যামেরা একেকটি গোলবারের মুখে ফোকাস করা হচ্ছে। ব্রাজিলের ১২টি শহরের প্রতিটি ষ্টেডিয়ামে এই গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যাহার করা হচ্ছে।

ক্যামেরাগুলি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০টি করে ছবি তুলবে আর তার সঙ্গে সংযুক্ত কম্পিউটারে ঐ ছবি সংরক্ষণ করবে। এক সেকেন্ডে কোনো বল লাইন অতিক্রম করলে রেফারীর বিশেষ ঘড়ি নড়ে চড়ে উঠবে এবং ‘গোল’ লেখা ঝলক দিয়ে উঠবে।

জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘গোল কন্ট্রোল’ এই প্রযুক্তির আবিস্কারক। এই প্রযুক্তি বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট, টেনিস এবং আমেরিকান ফুটবলে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। এর আগে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওর বিখ্যাত মারাকানা ষ্টেডিয়ামে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে পরীক্ষা করা হয়েছে।

গোল কন্ট্রোল এবং ফিফা কর্মকর্তারা জানান এই প্রযুক্তি ১০০ শতাংশ সঠিক। মারাকানায় পযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যাবহারের সময় গোল কন্ট্রোলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্রিক ব্রয়চাউসেন ২০১০ সালের দক্ষিন আফ্রিকা বিশ্বকাপের এক বিতর্কিত দুর্ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন।

ইংল্যান্ডের ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড জার্মানীর বিরুদ্ধে গোল করলে তা অস্বীকার করা হয়েছিল। সেই গোলটি গোলবারে লেগে গোললাইনের যে স্থানটিতে পড়েছিল কর্মকর্তারা ঠিকমত ধরতে পারেনি সেই স্থানটি গোললাইনের ভেতরে নাকি বাইরে ছিল।
ফিফা কর্মকর্তারা বলেন তারা নিশ্চিত যে তারা এই নতুন প্রযুক্তিতে আস্থা রাখেন এবং ব্রাজিলের বিভিন্ন ষ্টেডিয়ামে এই গোল-লাইন প্রযুক্তি ২৪’শয়েরও বেশীবার পরীক্ষা করা হয়েছে ।