আজকে আপনাদের জিজ্ঞাসা এবং আমাদের অতিথি প্যানেলিস্টদের জবাবের এই অনুষ্ঠান হ্যালো ওয়াশিংটনের বিষয় হচ্ছে ভারতের নাগরিকত্ব আইন : গণতন্ত্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ।
আমরা জানি ভারতের নাগরিকত্ব বিষয়ক সংশোধনী আইন বা যাকে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বলা হয় তার বিরুদ্ধে গোটা ভারত জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ঝড় বইছে। গত ১২ই ডিসেম্বর ভারতের সংসদে এই আইন পাশ করা হয়। এই সংশোধনীর কারণে ২০১৫ সালের আগে আফগানিস্তান , পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দু, জৈন , শিখ, বৌদ্ধ , খ্রীষ্টান এবং পারসিরা উপকৃত হবে কিন্তু এতে মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। প্রস্তাবিত ন্যাশনাল রেজিস্ট্রশান অফ সিটিজেন্স বা এন আর সি থেকে এই মুসলমানরা বাদ পড়ছেন। এই আইনকে বৈষম্যমূলক বলে এর বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভে যে কেবলমাত্র মুসলমানরা অংশ নিয়েছেন তা নয় এতে সকল ধর্মের লোক যোগ দিয়েছেন। দ্য ইকনমিস্ট পত্রিকা পরিস্কার করে লিখেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতে যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন, তা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র্রের জন্য একটা বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। যে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ নিয়ে ভারতের যাত্রা শুরু, ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭০তম বার্ষিকী এই তো মাত্র চার দিন আগেই উদযাপিত হলো, যে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষকতা খচিত রয়েছে, সেই প্রজাতন্ত্র কি ক্রমশই ধর্মবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে?
ভারতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক অধিকার কি সকল মানুষ পাচ্ছেন, এই সব জিজ্ঞাসার আলোকেই আজকের এই কল ইন শো। এতে যোগ দিয়েছেন, কোলকাতা থেকেই তিনজন বুদ্ধিজীবি । আমাদের প্যানেল সদস্যরা হচ্ছেন লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী ভিক্টোরিয়া কলেজের দর্শনের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা ড মিরাতুন নাহার, রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য , আরো আছেন কোলকাতার ডায়ামান্ড হার্বার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপিকা ও বিভাগীয় প্রধান ড অনিন্দিতা ঘোষাল। আপনাদের সবাইকে স্বাগতম ।
Your browser doesn’t support HTML5
শুনুন আজকের হ্যালো ওয়াশিংটন