আজকের এই কল ইন শোর বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : আশা নাকি আশংকা। এই কল –ইন শো’র প্যানেল সদস্যরা হচ্ছেন ঢাকা থেকে শরনার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জনাব আসিফ মুনির; রয়েছেন নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহি চৌধুরী । তা ছাড়া রয়েছে কক্সবাজারে শরনার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার, জনাব মোহাম্মদ আবুল কালামের বক্তব্য, আমাদের সাথে কক্সবাজার প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন শাকিল ও রয়েছেন সরাসরি টেলিফোন লাইনে।
প্রায় দু বছর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ান্মারের সেনাবাহিনীর সর্ব সাম্প্রতিক নৃশংস অভিযানের মুখে দশ লক্ষের ও বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই চার লক্ষের ও বেশি। সত্যবটে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্রপন্থিরা মিয়ান্মারের সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর পর, সেনাবাহিনী প্রতিশোধ হিসেবে রোহিঙ্গাদের ওপর ঢালাো ভাবে নিপীড়ন নির্যাতন চালায়। আর কেবল ২০১৭ সালেই বা কেন, আমরা জানি ১৯৭৮ সালে, ১৯৯১-৯২ সালে এবং আবার ২০১৬ সালে রোহিঙ্গা শরনাথী নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এবারের এই বিপুল সংখ্যক শরনাথীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে তার জন্য বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই শরনার্থীদের নিজ দেশ মিয়ান্মারে প্রত্যাবাসন বিষয়ে। একদিকে যেমন বাংলাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বিপুল সংখ্যক শরনার্থীর বোঝা বইতে পারে না, অন্যদিকে মিয়ান্মারে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের পুর্ণ অধিকার সংরক্ষণের আশ্বাস ছাড়া, রোহিঙ্গারাও স্বদেশে ফিরে যেতে রাজি নয়। এই টানাপোড়েনের মুখেই আমাদের আজকের এই আলোচনা। আর এই কল ইন শো সঞ্চালন করেছেন, আনিস আহমেদ
Your browser doesn’t support HTML5
Rohingya-Hello washington