আসিয়ান সভাপতি হুন সেনের মিয়ানমার সফর : সংকট মোচনের চেষ্টা

প্রায় এক বছর আগে মিয়ানমারের সামরিক নেতারা ক্ষমতা গ্রহণের পর, প্রথম একজন বিদেশী নেতা হিসাবে কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান আসিয়ান সভাপতি হুন সেন দেশটি সফরে আসেন, ৭ই জানুয়ারি ২০২২, ছবি/ মিয়ানমার সামরিক তথ্য দল/এএফপি

কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন মিয়ানমারে শান্তির লক্ষ্যে আসিয়ান দেশগুলো যে ৫ দফা শান্তির প্রস্তাব করেছিল দেশটিতে তাঁর এই দুদিনের সফরে তা আঞ্চলিক কর্মসূচিতে আবার অন্তর্ভুক্ত করছেন। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, যে কোন ধরণের চুক্তি গত ফেব্রুয়ারির অভ্যুথানের পর দেশে যে রক্তপাত ঘটে যায় তা সম্ভবত নিরসনে ব্যর্থ হবে।

ঐকমত্যে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আবেদন জানানো হয় এবং বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা, মহাসচিবের সহায়তায় আসিয়ান সভাপতির দূতের মাধ্যমে মধ্যস্থতা, মানবিক সহায়তা ও মিয়ানমারের বিশেষ একজন দূতের সফর নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

হুন সেনের বৈঠকের পর সরকারি বিবৃতিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কথা ব্যক্ত করা হয় । কাম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সখন সাংবাদিকদের জানান, "মিয়ানমার যদি গৃহযুদ্ধের সঙ্কটে জড়িয়ে পড়ে, যেমনটি আমরা উদ্বিগ্ন, তা এই অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, আসিয়ানের খ্যাতি তথা ঐক্যের জন্য ক্ষতিকারক হবে; তাই মিয়ানমারকে সহায়তা করার মানেই হচ্ছে আসিয়ানকে সাহায্য করা"।

কাম্বোডিয়া এ বছর আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। শুক্রবার সভাপতি হিসাবে হুন সেনের শুরু হওয়া সফর মিয়ানমারে অভ্যুথানের পর কোনো বিদেশী নেতার প্রথম সরকারি সফর। এর আগে আসিয়ান জোট ঐকমত্য সম্পন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছিল।

কাম্বোডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর কোঅপারেশন এন্ড পিস এর বিশিষ্ট ঊর্ধ্বতন গবেষক, ব্র্যাডলি মার্গ বলেন, "অব্যাহত সহিংসতার কারণে এই প্রক্রিয়া ছিল এ পর্যন্ত ব্যর্থ, তবে বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হুন সেন একটি সুযোগের সৃষ্টি করছেন"।

উত্তরাঞ্চলীয় কাম্বোডিয়ার শহর সিয়েম রিপে জানুয়ারির ১৮ ও ১৯ তারিখে ১০টি দেশের আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন যেখানে জোটের সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে।

জোট ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে মিন অঙ্গ হ্লেইংকে অক্টোবরের আসিয়ান বৈঠকে যোগ দিতে দেয়া হয় নি।

কাম্বোডিয়া গবেষণা গ্ৰুপ, ফিউচার ফোরাম এর প্রেসিডেন্ট ওউ ভিরাক বলেন, হুন সান যা চেয়েছেন তা পেয়েছেন এবং তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জাতিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিরতির এ বছরের শেষ পর্যন্ত সম্প্রসারণ।