ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নজির বিহীন ঘটনা: সেনাবাহিনীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া দায়িত্বে এলেন  এই প্রথম মহিলা ক্যাপ্টেন কল্পনা কুণ্ডু

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নজির বিহীন ঘটনা। হিমালয়ের বিপদসঙ্কুল এলাকায় টহলদারিতে যোগ দিলেন এক মহিলা অফিসার। উচ্চ উচ্চতা ও প্রতিকুল পরিবেশে এই ধরনের টহলদারি খুবই বিপজ্জনক। মহিলাদের পক্ষে তা খুবই চ্যালেঞ্জিং।ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া দায়িত্বে এলেন এই প্রথম মহিলা ক্যাপ্টেন কল্পনা কুণ্ডু।

অরুণাচলের চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারিতে পাঠানো হয়েছে ক্যাপ্টেন কুণ্ডুকে। হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকায় টহলদারি অত্যান্ত চ্যালেঞ্জিং। সেটাই করে দেখালেন কল্পনা কুন্ডু।সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অরুণাচলে হিমালয়ের বিপদসঙ্কুল এলাকায় টহলদারিতে সেনার চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নিলেন ক্যাপ্টেন কল্পনা কুণ্ডু। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের এই অংশটি অত্যান্ত বিপদজনক। এই সাহসিকতাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য।

ভারতীয় সেনায় মহিলাদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। মাত্র ৩.৮০ শতাংশ। ২০১৭ সালের একটি হিসেব অনুযায়ী চিকিৎসা ক্ষেত্রের বাইরে ভারতীয় সেনার রয়েছেন ১৫৪৮ মহিলা অফিসার। আর মেডিক্যাল সার্ভিসে রয়েছেন ৩৭৩০ জন।

সেনাবাহিনীতে মহিলাদের অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আসে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সেনার পুলিসে মহিলাদের অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। গত বছরে বায়ুসেনায় এসেছেন তিন মহিলা ফাইটার পাইলট। এরা হলেন মোহনা সিং, অবনি চতুর্বেদী ও ভাবনা কান্ত। নৌসেনাতেও নিয়োগ করা হচ্ছে মহিলাদের।

Your browser doesn’t support HTML5

কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষরায়ের রিপোর্ট