৫ই অগাস্ট নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন

আগামী ৫ই অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সেই উপলক্ষে তার প্রস্তুতিপর্ব দেখতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ অযোধ্যায় গিয়েছেন। রাম মন্দিরে ও হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট যারা মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে, তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

রাম জন্মভূমি অছি পরিষদের সভাপতি মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস জানিয়েছেন, ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর সাড়ে তিন থেকে চার বছর লাগবে মন্দির তৈরি শেষ হতে। এর জন্য রাজস্থান থেকে আড়াইশো জন দক্ষ নির্মাণ কর্মী নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে মন্দিরের নকশায় কিছু অদল বদল হয়েছে। আগের থেকে এটি উচ্চতায়, আড়ে ও বহরে বেড়েছে। চুড়োর উচ্চতা ২০ ফুট বেড়ে এখন হয়েছে ১৬১ ফুট। আগে ঠিক ছিল মন্দির দোতলা হবে, এখন ঠিক হয়েছে তিনতলা। আগে ছিল তিনটি গম্বুজ এখন ঠিক হয়েছে পাঁচটি গম্বুজ। প্রস্থেও খানিকটা বাড়বে মন্দিরটি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উদ্যোগে ভারতের বিভিন্ন পবিত্র স্থানের মাটি এনে মন্দিরের জমিতে ঢালা হয়েছে। ভিত পুজোর তিন দিন আগে থেকেই রাম জন্মভূমি ক্ষেত্রে যজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে এক ভক্তের পাঠানো ৪০ কেজি ওজনের একটি রুপোর ইট বেলা ঠিক সওয়া বারোটার সময় স্থাপন করবেন। এইভাবে ভিত পুজোর পর মন্দিরের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে। জ্যোতিষীদের মতে ওই দিন এবং ওই সময় সব চেয়ে শুভ মুহূর্ত। মন্দির তৈরি হয়ে গেলে দেশ করোনা থেকে মুক্তি পাবে বলেও বিজেপির একাংশ প্রচার চালাচ্ছে। মোহন্ত নৃত্যগোপাল জানান, করোনার কথা মাথায় রেখে ২০০ জনের বেশি অতিথি সমাগম যাতে কোনও মতেই না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

মোদী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত থাকবেন। আর আমন্ত্রণ জানানো হবে বর্ষীয়ন বিজেপি নেতা এল কে আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, কল্যান সিংহ ও উমা ভারতীকে। মনে থাকতে পারে, এই কল্যাণ সিং যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখনই বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল। আর আডবাণী, যোশী, উমা ভারতীর নামে এখনও বাবরি মসজিদ ভাঙা সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে। রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট জানিয়েছে, ৫ই অগাস্টের অনুষ্ঠানে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ছাড়া থাকবেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে অযোধ্যায় এখন একটা সাজ সাজ রব পড়ে গেছে।

Your browser doesn’t support HTML5

কলকাতা থেকে দীপংকর চক্রবর্তীর রিপোর্ট