যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব কি না সংশয় প্রকাশ কলকাতার মেট্রো কর্তৃপক্ষের

করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতায় মেট্রো সচল হলে দূরত্ব-বিধি মেনে চলতে প্রস্তাব উঠে এসেছে রাজ্য প্রশাসন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠকে। প্রস্তাবিত ওই ব্যবস্থা কী ভাবে কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে দু’তরফেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে খবর।বর্তমান ব্যবস্থায় মেট্রো চালু হলে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বৈঠকে সংশয় প্রকাশ করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আট কামরার একটি ট্রেনের এক-এক দিকে ৩২টি করে দরজা থাকে। ফলে কোন কামরায় ক’জন উঠছেন বা নেমে যাচ্ছেন, তা নজরে রাখতে গেলে যে বিপুল সংখ্যক রক্ষী প্রয়োজন, তা মেট্রোর নেই বলে বৈঠকে জানান তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের প্রবেশের সময়ে সব ক’টি স্টেশনে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতেও বিরাট সংখ্যক রক্ষী দরকার।মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, করোনার জেরে ভিড় কমাতে রেল মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে তাঁদের অনেক কম কর্মী নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকার কথাও জানানো হয়।তখনই মহারাষ্ট্রের ধাঁচে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। মেট্রো কর্তৃপক্ষও তেমন আগ্রহের কথা জানান। এই অবস্থায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার সমাধান খুঁজতে অ্যাপ-নির্ভর বোর্ডিং পাসের প্রসঙ্গ ওঠে। যাত্রীদের কে, কখন, কোথা থেকে ট্রেনে উঠবেন, তা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে অ্যাপ কার্যকর হতে পারে বলে জানান প্রশাসনের কর্তারা। বিদেশে বেশ কিছু মেট্রো স্টেশনে এমন ব্যবস্থা রয়েছে। কী ভাবে ওই ব্যবস্থা এখানে কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা চলছে বলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্ন সূত্রের খবর।

Your browser doesn’t support HTML5

যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব কি না সংশয় প্রকাশ ভারতের মেট্রো কর্তৃপক্ষের